সভাপতির বাণী 

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি শিক্ষিত মা যেমন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে সহায়ক, তেমনি একটি আলোকিত সমাজ বিনির্মাণেও নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সেই লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় এক শতাব্দীর ঐতিহ্য নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরার নারী শিক্ষায় এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যেই অফুরন্ত সম্ভাবনা লুকায়িত আছে। শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি একই সূত্রে গাঁথা । শিক্ষা কোন পাঠ্য পুস্তকের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্ব বিকাশেও সমানভাবে যত্নশীল। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ছাত্রীদের একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
এই প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র ভালো ফলাফলের দিকে নজর দেয় না, বরং শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশেও সমানভাবে গুরুত্বারোপ করে। খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রীরা নিজেদের বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আগামীতেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং নারী শিক্ষায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় আমি সর্বদা তাদের পাশে আছি।
সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমার প্রত্যাশা শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননে আধুনিক চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে তাদের মননশীল বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাবে।

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

আজকের শিশু কিশোর তরুণেরাই ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কর্ণধার। এদের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে অশেষ সম্ভাবনা ও বিপুল সৃজনী প্রতিভা। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও  নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজ ও জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নেপোলিয়নের উক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়- ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি  শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ বিশ্ব নেপোলিয়নের এই উক্তির মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই বর্তমানে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে।  কারণ একজন মেয়েকে শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে  গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। বৃহদার্থে সমাজ ও দেশকে উন্নত করা। তাই জাতির কল্যাণ অগ্রগতিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই ।

কোমলমতি শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরে স্ফুটনোম্মুখ মেধার সুষ্ঠু বিকাশ ও তার বহুমুখী সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের জন্য যথোপযুক্ত মাধ্যম প্রয়োজন। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জন্য আত্মবিকাশের এমন একটি চমৎকার সুযোগ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে বলে আমি গর্ববোধ করছি। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম প্রধান নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদান করে এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর সফলতার সাথে বোর্ডে নিজেদের অবস্থান প্রথম সারিতে ধরে রেখেছে। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষায় নয়, বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশে অবদান রাখছে। নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে এই বিদ্যালয়টি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।